একজন ব্যবসায়ী যেমন তার গুচ্ছিত অর্থ এক জায়গায় বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে তখন কোন একটা খাতে ক্ষতি হলেও অন্য খাতে লভ্যাংশ উঠে আসে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীকে খুব একটা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় না। ঠিক এই নীতিটা এখন আমাদের রপ্তানিতে প্রয়োগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আমাদের অর্থনীতি এখন গার্মেন্টস নির্ভর। রপ্তানির সিংহভাগই আসে এই খাত থেকে। আন্তর্জাতিক বাজারে উপস্থিতি বাড়াতে আমাদের প্রয়োজন অন্যখাতে নজর দেওয়া। এর মধ্যে কৃষিপণ্য, সবজি, ফল, প্রসেসডস ফুড, পাটপন্য, লেদার, হস্তশিল্প, প্লাস্টিক্স, ফার্মাসিঊটিক্যালস, হিমায়িত ও লাইভ ফিস অন্যতম ! এছাড়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিয়াল জিনিসপত্রের দিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে এই বহুল জনসংখ্যার দেশে শ্রমিকের অভাব পড়বে না।
সারাবিশ্ব জড়েু পাটপন্যের চাহিদা অনেক। কৃষকদের ঠিকমতো প্রনোদনা দিতে পারলে দেশে পাট উৎপাদন বদ্ধিৃ পেয়ে সেটা রপ্তানিতে অংশীদার হবে।
বিশাল বড় সমদ্র সীমানা থাকার পরেও আমরা এখনো সমদ্র সম্পদ আহরনে এখনো যোজন পিছিয়ে। এই সম্পদ টা কে কাজে লাগাতে হবে।বিশ্বজড়েু টুনা মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও আমরা এখনও তা আহরন ও রপ্তানি করতে পারি না। এইদিকে মনোনিবেশ করলে হয়তো একটা বিশাল অঙ্কের রপ্তানি আয় এই খাত থেকে আসত।
এমন অনেক শিল্প তদারকির অভাবে আজ পিছিয়ে পড়তেছে।
অনেক শিল্পে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। রপ্তানি টার্গেট ধরে রাখতে হলে আমাদের অন্যান্য খাতেও সময় দেওয়া জরুরী।দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিল্প গুলো কে আবার পনু রায় চাল করতে পারলে তা রপ্তানি আয়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এখনই সময় একই শিল্পের উপর নির্ভরশীল না থেকে অন্যান্য শিল্পে নজর দেওয়া।